ভুতুড়ে কিছু থেকে প্রানে বেচে যাওয়ার এক মর্মান্তিক ঘটনা গ্রাম্য সত্যিকারের ঘটনা
না আমি আপনাদের মত হয়ত পারবোনা তাই বারং বার লিখতে বসেও বুঝে উঠতে পারছিনা কি নিয়ে লিখবো?
একটাই কথা মাথায় ঘুরছে আসলে টপিক কোনটা বেছে নিবো কিন্তু কথায় আছে যেখানে ভুতের ভয় সেখানেই সন্ধ্যা হয়।
তাই সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেললাম একটি সত্যিকারের ভুতূড়ে ঘটনা আপনাদের সামনে উপস্থাপন করবো বলে তাই যদি কোন ভুল হয়ে যায় ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন দয়া করে।
তো চলুন শুরু করা যাকঃ
ঘটনা টি ঘটেছিলো বরিশাল গৌরনদী থানার চানশী নামক একটি গ্রামে।
ভাবছেন এর সাথে আমার যোগসূত্র কি?
বলে নেওয়া ভালো হবে সেখানে আমার নানা বাড়ী অবস্থিত আর যখন ঘটনা টা ঘটেছিল তখন মোটামুটি আমি ছোট বললেই চলে।
যখনকার কথা তখন ইলেক্ট্রিসিটি নতুন এসেছে গ্রামে মনে হয় এটা ১৯৯৮ সালের ঘটনা হবে আর বেশী গেলে এক দুবছর এদিক ওদিক হতেও পারে যাই হোক সালটা এখানে বড় করে দেখার থেকে বরং ভুতূড়ে ঘটনার দিকে নজর দেই।
ঈদের ছুটিতে বরিশাল বেড়াতে যাওয়া যদিও গ্রাম টি এত আধুনিক ছিলনা বরং ভয়ংকর লাগতো আমার কাছে।
ভয়ংকর লাগার ও কিছু কারণ রয়েছে যেমন সন্ধ্যার পর পর গ্রামের লোকজনকে রাস্তায় না বরং বিছানায় আবিস্কার করা যেত তার ফলে সন্ধ্যা হলেই হয়ে যেত পুরো পরিবেশ নিরিবিলি। আর তার সাথে রয়েছে বাশের ঝাড় আর কবরস্থান তাও আবার বাড়ী ঘেষে।
তাছাড়াও বেশীর ভাগ জায়গা ঘন জংগলে দখল করে নিয়েছে।
খালের পানি বয়ে যাওয়া, বাশের পাতা ঘষা খাওয়া আর বাশে বাশে বাড়ি খাওয়া সাথে জোনাকি ঝি ঝি শব্দে মনে হতো এখানে কোন ভুতূড়ে ছবির শুটিং চলছে, আর সেট তা তো সাজানোই।
শুধু ঝড়ো বাতাসের কমতি ছিল সেই দিন তাও এসে উপস্থিত হয়ে গেল, সাথে বৃষ্টি আশার অগ্রীম লক্ষন জানান দিচ্ছিলো যে আজ একটা ঝড় তুফান হবে।
তাই দেখে আমার মামী মাছ গুলোকে কেটে ফেলল তাড়াতাড়ি করে যাতে বৃষ্টি আসার আগেই পুকুর থেকে ধুয়ে আনতে পারে।
মামীও পুকুর পাড়ে গিয়ে পৌছল ঠিক সেই মুহূর্তে চলে গেল ইলেক্ট্রিসিটি তাই ঘরের সবাই আলো জ্বালানো নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লো।
তাছাড়াও অনেকদিন পর সবাই একসাথে তাই চলছিল গল্পের আড্ডা। এর মাঝে এসে যোগ দিলো বড় আকারের ঝড় তাই বড়রা ছোটদের শান্তনা দিতে ব্যস্ত।
কেউ জানালা লাগানো নিয়ে ব্যস্ত কেউবা রান্নাঘরে।
বলে নেওয়া ভালো হবে রান্নাঘর যদিও পাশাপাশি ছিল কিন্তু পুকুর এবং Toilet খানিকটা বললে ভুল হবে বেশ দূরেই ছিল। Toilet এর বর্ননা এভাবে দেওয়া যেতে পারে ঘরের থেকে ৫-৮ মিনিট হেটে গেলে পড়বে বিশাল বাশ ঝাড় তার মাঝেই বানানো হয়েছে কাম সারার জায়গা।
আর ঠিক তার উল্টোদিকে রয়েছে বড় একটি খাদি আর অন্যপাশে পুকুর।
তো সবাই যখন আড্ডায় ব্যস্ত ঠিক তখন একটা গোংগানীর শব্দ ভেসে আসে। আর তখন সবার মনে পড়ে যে মামী তো অনেক আগে পুকুরে গেল ঝড় আরম্ভ হলো কিন্তু তাকে তো আসতে দেখা গেলনা।
তাই মামা খুজতে বের হলো মামীকে হাতে একটি টর্চ জ্বালিয়ে। পুকুর পাড়ে ভিজতে ভিজতে গিয়ে পৌছালো। কিন্তু একি মাছ ও নেই সাথে মামীর ও কোন সাড়াশব্দ নেই তাই মামা একটু ভড়কে গেল এই ভেবে যে "ও তো বাসায় নেই পুকুরেও নেই তাহলে গেলো কোথায়? ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে প্রায় রাত ১০ টার কাটা ছুই ছুই করছে।
মামা আবার একটি শব্দ শুনতে পেলো কিন্তু অস্পষ্টভাবে তাই কানখাড়া করে শোনার চেষ্টা চালালো একবার।
ঠিক পরমুহূর্তে দূর থেকেই ভেসে এলো মর্মাহত কারো চিৎকার। অন্যদিকে মামার আসতে দেরী হচ্ছে বলে মানিক মামাও ঘর থেকে বেড়িয়ে গেল বড় মামার দেরী হচ্ছে কেন আসতে তা জানতে।
বড় মামাই ডাক দিয়ে বসলেন এই তোরা কই এদিকে আয় তোর ভাবীকে খুজে পাচ্ছিনা।
দুই মামা টর্চ জ্বেলে খুজতে লাগলো বাশের ঝাড়ে, টয়লেট, এবং কবরস্থানের আশে পাশে আর তার সাথে চলছে মামীর নাম ধরে উচ্চস্বর এ ডাকাডাকি।
ঠিম সেই সময়ে মনে হলো খাদির ভিতর কোন কিছু আছাড় মারা হচ্ছে সাথে গোংগানীর শব্দ, দুই মামা শব্দ যেখান থেকে আসছে সেদিকে দৌড় দিল।
গিয়ে দেখে খাদিতে কি যেন লড়ছে তারা লাইট এর সাহায্য নিয়ে স্পষ্ট দেখার চেষ্টা চালালো।
কেউ যেন মামীকে একবার শুন্যে উঠাচ্ছে আবার কিছুক্ষন পর কাদায় জোরে আছাড় মারছে।
মামার আর কিছু বুঝতে বাকী রইলোনা সে বুঝে গিয়েছে যে তার লাইফ পার্টনার এর সাথে ঘটে চলছে প্যারানরমাল কিছু।
দুই মামা খাদিতে গিয়ে পৌছাল এবং মামীকে আধা শরীর উলটো করে কাদায় গাড়া অবস্থায় পেল।
অনেক টানাটুনি করে মামীর শরীর তারা কাদা হতে উঠাতে পারলো কিন্তু ততক্ষনে অনেক দেরী হয়ে গেছে।
মামীর গলাতে কাদা ঢুকে গিয়ে দম বন্ধ হয়ে রয়েছে তাই তড়িঘড়ি করে তার গলা পরিস্কার করার চেষ্টা চালালো।
মামা যেন কেদেই ফেলবে তার প্রিয় মানুষ কে নিজের সামনে এভাবে মরে যেতে দেখে।
অনেকটা সময় হয়তো মামীর সাথে সেই খারাপ অদৃশ্য কিছুর যুদ্ধ হয়েছে কিন্তু এক সময় মামী ক্লান্ত হয়ে পড়লে তাকে খাদির কাদায় চুবানো হয় সাথে আছাড় তো রয়েছেই। মামীর চোখ গুলো বড় বড় ছিলো যা দেখলেই বুঝা যাবে যে ভয়ংকর কিছুই দেখেছে সে।
কিন্তু আল্লাহ সর্ব শক্তিমান তিনিই মনে হয় এ যাত্রায় মামীকে বাচিয়ে দিলো। জি উনি এখনো বেচে আছেন।
কথায় আছে না রাখে আল্লাহ মারে কে।
যখন মামীর হুশ ফিরলো তাকে কি হয়েছিল রাতে জিজ্ঞাসা করা হয় তখন তিনি বললেন।
আমি যখন মাছ ধুতে যাচ্ছিলাম পরপর দুবার কাদায় পিছলে পড়ে যাই তারপর ও মাছ গুলো নিয়ে পুকুরে পৌছানোর কিছুক্ষন পর নাকি বড় মামা এসে বলে সে নাকি টয়লেট এ যাবে তার সাথে একটু যেতে মামীকে।
মামী বুঝে উঠতে পারে নি যে এটা মামা ছিলনা বরং অন্য কিছুই ছিলো।
মামীও ভুত মামার সাথে টয়লেট এর পাশে খাদি পর্যন্ত যাওয়ার পরে কেন জানি সন্দেহ হয় যে মামা কোন সময় তো তাকে টয়লেট এর পাশে দাড়াতে যাওয়ার জন্য বলে নাই তাছাড়া মামার চোখ গুলো নাকি লাল ছিলো এবং কড়া চোখের দৃষ্টি তাই মামী সন্দেহমূলক ভাবে মামার পায়ের দিকে তাকায় আর তার জানটা যেন ঊড়ে বের হয়ে যেতে চাইলো উলটো পা দেখে।
দৌড় দিবে এরকম চিন্তা ভাবনা মামীর মাথায় ঘোরপাক খাচ্ছিলো কিন্তু দেরী হয়ে গেল মামীকে কাদায় আছাড় মেরে ফেলে দেয় চলে মারামারি সাথে মামীকে কাদায় গেড়ে ফেলার প্রচেষ্টা।
আর তারপর অজ্ঞান হয়ে পড়ে এবং মামা তাকে উদ্ধার করে আনে বাড়িতে।
জানি না সত্য ঘটনা টি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে কিনা ভয়ের আমেজ দিতে পেরেছে কিনা যদি একটুও ভালো লেগে থাকে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না কিন্তু?
তাহলে সবাই ভালো থাকবেন।
আজকের মত বিদায় দেখা হবে অন্য কোন দিন নতুন কিছু নিয়ে।
সৌজন্যেঃ ইসমাইল হোসেন সৌরভ
একটাই কথা মাথায় ঘুরছে আসলে টপিক কোনটা বেছে নিবো কিন্তু কথায় আছে যেখানে ভুতের ভয় সেখানেই সন্ধ্যা হয়।
তাই সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেললাম একটি সত্যিকারের ভুতূড়ে ঘটনা আপনাদের সামনে উপস্থাপন করবো বলে তাই যদি কোন ভুল হয়ে যায় ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন দয়া করে।
তো চলুন শুরু করা যাকঃ
ঘটনা টি ঘটেছিলো বরিশাল গৌরনদী থানার চানশী নামক একটি গ্রামে।
ভাবছেন এর সাথে আমার যোগসূত্র কি?
বলে নেওয়া ভালো হবে সেখানে আমার নানা বাড়ী অবস্থিত আর যখন ঘটনা টা ঘটেছিল তখন মোটামুটি আমি ছোট বললেই চলে।
যখনকার কথা তখন ইলেক্ট্রিসিটি নতুন এসেছে গ্রামে মনে হয় এটা ১৯৯৮ সালের ঘটনা হবে আর বেশী গেলে এক দুবছর এদিক ওদিক হতেও পারে যাই হোক সালটা এখানে বড় করে দেখার থেকে বরং ভুতূড়ে ঘটনার দিকে নজর দেই।
ঈদের ছুটিতে বরিশাল বেড়াতে যাওয়া যদিও গ্রাম টি এত আধুনিক ছিলনা বরং ভয়ংকর লাগতো আমার কাছে।
ভয়ংকর লাগার ও কিছু কারণ রয়েছে যেমন সন্ধ্যার পর পর গ্রামের লোকজনকে রাস্তায় না বরং বিছানায় আবিস্কার করা যেত তার ফলে সন্ধ্যা হলেই হয়ে যেত পুরো পরিবেশ নিরিবিলি। আর তার সাথে রয়েছে বাশের ঝাড় আর কবরস্থান তাও আবার বাড়ী ঘেষে।
তাছাড়াও বেশীর ভাগ জায়গা ঘন জংগলে দখল করে নিয়েছে।
খালের পানি বয়ে যাওয়া, বাশের পাতা ঘষা খাওয়া আর বাশে বাশে বাড়ি খাওয়া সাথে জোনাকি ঝি ঝি শব্দে মনে হতো এখানে কোন ভুতূড়ে ছবির শুটিং চলছে, আর সেট তা তো সাজানোই।
শুধু ঝড়ো বাতাসের কমতি ছিল সেই দিন তাও এসে উপস্থিত হয়ে গেল, সাথে বৃষ্টি আশার অগ্রীম লক্ষন জানান দিচ্ছিলো যে আজ একটা ঝড় তুফান হবে।
তাই দেখে আমার মামী মাছ গুলোকে কেটে ফেলল তাড়াতাড়ি করে যাতে বৃষ্টি আসার আগেই পুকুর থেকে ধুয়ে আনতে পারে।
মামীও পুকুর পাড়ে গিয়ে পৌছল ঠিক সেই মুহূর্তে চলে গেল ইলেক্ট্রিসিটি তাই ঘরের সবাই আলো জ্বালানো নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লো।
তাছাড়াও অনেকদিন পর সবাই একসাথে তাই চলছিল গল্পের আড্ডা। এর মাঝে এসে যোগ দিলো বড় আকারের ঝড় তাই বড়রা ছোটদের শান্তনা দিতে ব্যস্ত।
কেউ জানালা লাগানো নিয়ে ব্যস্ত কেউবা রান্নাঘরে।
বলে নেওয়া ভালো হবে রান্নাঘর যদিও পাশাপাশি ছিল কিন্তু পুকুর এবং Toilet খানিকটা বললে ভুল হবে বেশ দূরেই ছিল। Toilet এর বর্ননা এভাবে দেওয়া যেতে পারে ঘরের থেকে ৫-৮ মিনিট হেটে গেলে পড়বে বিশাল বাশ ঝাড় তার মাঝেই বানানো হয়েছে কাম সারার জায়গা।
আর ঠিক তার উল্টোদিকে রয়েছে বড় একটি খাদি আর অন্যপাশে পুকুর।
তো সবাই যখন আড্ডায় ব্যস্ত ঠিক তখন একটা গোংগানীর শব্দ ভেসে আসে। আর তখন সবার মনে পড়ে যে মামী তো অনেক আগে পুকুরে গেল ঝড় আরম্ভ হলো কিন্তু তাকে তো আসতে দেখা গেলনা।
তাই মামা খুজতে বের হলো মামীকে হাতে একটি টর্চ জ্বালিয়ে। পুকুর পাড়ে ভিজতে ভিজতে গিয়ে পৌছালো। কিন্তু একি মাছ ও নেই সাথে মামীর ও কোন সাড়াশব্দ নেই তাই মামা একটু ভড়কে গেল এই ভেবে যে "ও তো বাসায় নেই পুকুরেও নেই তাহলে গেলো কোথায়? ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে প্রায় রাত ১০ টার কাটা ছুই ছুই করছে।
মামা আবার একটি শব্দ শুনতে পেলো কিন্তু অস্পষ্টভাবে তাই কানখাড়া করে শোনার চেষ্টা চালালো একবার।
ঠিক পরমুহূর্তে দূর থেকেই ভেসে এলো মর্মাহত কারো চিৎকার। অন্যদিকে মামার আসতে দেরী হচ্ছে বলে মানিক মামাও ঘর থেকে বেড়িয়ে গেল বড় মামার দেরী হচ্ছে কেন আসতে তা জানতে।
বড় মামাই ডাক দিয়ে বসলেন এই তোরা কই এদিকে আয় তোর ভাবীকে খুজে পাচ্ছিনা।
দুই মামা টর্চ জ্বেলে খুজতে লাগলো বাশের ঝাড়ে, টয়লেট, এবং কবরস্থানের আশে পাশে আর তার সাথে চলছে মামীর নাম ধরে উচ্চস্বর এ ডাকাডাকি।
ঠিম সেই সময়ে মনে হলো খাদির ভিতর কোন কিছু আছাড় মারা হচ্ছে সাথে গোংগানীর শব্দ, দুই মামা শব্দ যেখান থেকে আসছে সেদিকে দৌড় দিল।
গিয়ে দেখে খাদিতে কি যেন লড়ছে তারা লাইট এর সাহায্য নিয়ে স্পষ্ট দেখার চেষ্টা চালালো।
কেউ যেন মামীকে একবার শুন্যে উঠাচ্ছে আবার কিছুক্ষন পর কাদায় জোরে আছাড় মারছে।
মামার আর কিছু বুঝতে বাকী রইলোনা সে বুঝে গিয়েছে যে তার লাইফ পার্টনার এর সাথে ঘটে চলছে প্যারানরমাল কিছু।
দুই মামা খাদিতে গিয়ে পৌছাল এবং মামীকে আধা শরীর উলটো করে কাদায় গাড়া অবস্থায় পেল।
অনেক টানাটুনি করে মামীর শরীর তারা কাদা হতে উঠাতে পারলো কিন্তু ততক্ষনে অনেক দেরী হয়ে গেছে।
মামীর গলাতে কাদা ঢুকে গিয়ে দম বন্ধ হয়ে রয়েছে তাই তড়িঘড়ি করে তার গলা পরিস্কার করার চেষ্টা চালালো।
মামা যেন কেদেই ফেলবে তার প্রিয় মানুষ কে নিজের সামনে এভাবে মরে যেতে দেখে।
অনেকটা সময় হয়তো মামীর সাথে সেই খারাপ অদৃশ্য কিছুর যুদ্ধ হয়েছে কিন্তু এক সময় মামী ক্লান্ত হয়ে পড়লে তাকে খাদির কাদায় চুবানো হয় সাথে আছাড় তো রয়েছেই। মামীর চোখ গুলো বড় বড় ছিলো যা দেখলেই বুঝা যাবে যে ভয়ংকর কিছুই দেখেছে সে।
কিন্তু আল্লাহ সর্ব শক্তিমান তিনিই মনে হয় এ যাত্রায় মামীকে বাচিয়ে দিলো। জি উনি এখনো বেচে আছেন।
কথায় আছে না রাখে আল্লাহ মারে কে।
যখন মামীর হুশ ফিরলো তাকে কি হয়েছিল রাতে জিজ্ঞাসা করা হয় তখন তিনি বললেন।
আমি যখন মাছ ধুতে যাচ্ছিলাম পরপর দুবার কাদায় পিছলে পড়ে যাই তারপর ও মাছ গুলো নিয়ে পুকুরে পৌছানোর কিছুক্ষন পর নাকি বড় মামা এসে বলে সে নাকি টয়লেট এ যাবে তার সাথে একটু যেতে মামীকে।
মামী বুঝে উঠতে পারে নি যে এটা মামা ছিলনা বরং অন্য কিছুই ছিলো।
মামীও ভুত মামার সাথে টয়লেট এর পাশে খাদি পর্যন্ত যাওয়ার পরে কেন জানি সন্দেহ হয় যে মামা কোন সময় তো তাকে টয়লেট এর পাশে দাড়াতে যাওয়ার জন্য বলে নাই তাছাড়া মামার চোখ গুলো নাকি লাল ছিলো এবং কড়া চোখের দৃষ্টি তাই মামী সন্দেহমূলক ভাবে মামার পায়ের দিকে তাকায় আর তার জানটা যেন ঊড়ে বের হয়ে যেতে চাইলো উলটো পা দেখে।
দৌড় দিবে এরকম চিন্তা ভাবনা মামীর মাথায় ঘোরপাক খাচ্ছিলো কিন্তু দেরী হয়ে গেল মামীকে কাদায় আছাড় মেরে ফেলে দেয় চলে মারামারি সাথে মামীকে কাদায় গেড়ে ফেলার প্রচেষ্টা।
আর তারপর অজ্ঞান হয়ে পড়ে এবং মামা তাকে উদ্ধার করে আনে বাড়িতে।
জানি না সত্য ঘটনা টি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে কিনা ভয়ের আমেজ দিতে পেরেছে কিনা যদি একটুও ভালো লেগে থাকে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না কিন্তু?
তাহলে সবাই ভালো থাকবেন।
আজকের মত বিদায় দেখা হবে অন্য কোন দিন নতুন কিছু নিয়ে।
সৌজন্যেঃ ইসমাইল হোসেন সৌরভ